নিজস্ব প্রতিবেদক ঃ
গোলাপগঞ্জ উপজেলার তলাহাল খর্দাপাড়া গ্রামে বাড়ির জমি দখল নিয়ে গত কাল মঙ্গলবার( ১১ জুলাই) দুপক্ষের মধ্যে সংঘর্ষের সৃষ্টি হয়। এতে প্রতিপক্ষের হামলায় এক বৃদ্ধা মা সহ চারজন আহত হয়ে হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
অভিযোগে জানা যায়, তলাহাল খর্দাপাড়া গ্রামের মৃত মতছির আলীর পুত্র ফখরুল হক সুজা (২৬) এর বাড়ির জমি নিয়ে পাশের ঘরের মৃত মন্নান মিয়ার ছেলে সুফিয়ান ও শিপলু গংদের সাথে দীর্ঘদিনের বিরোধ রয়েছে।
বিষয়টি মিমাংসা করার লক্ষ্যে গ্রামে একাধিকবার সালিশ বৈঠক অনুষ্ঠিত হলেও বিষিয়টি অমীমাংসীত রয়েযায় । সহায় সম্বলহীন ফখরুল হক সুজা নিরুপায় হয়ে একমাত্র সম্বল বাড়ির জমি টিকিয়ে রাখতে মৃত মান্নান মিয়ার ছেলেদের বিরুদ্ধে আদালতে মামলা দায়ের করেন। তবুও রক্ষা পাননি
প্রতিপক্ষের হামলার শিকার হয়ে সিলেট এমএ জি ওসমানী মেডিকেল কলেজ হাসপাতালের জরুরি বিভাগের ২৭ নং মেডিসিন ওয়ার্ডের ব্যাডে মৃত্যুর সাথে পাঞ্জা লড়ছেন ফখরুল হক সুজা (২৬) সহ তাঁর পরিবার।
আহত সুজার স্ত্রী ফাতিমা বেগম প্রতিবেদককে জানান,তার স্বামী নিরীহ ফখরুল হক সোজা ও তার পরিবার আদালতে মামলা দায়ের করেও শেষ রক্ষা পাননি। ভূমি খেকু সুফিয়ান ও শিপলু সন্ত্রাসীদের সঙ্গে নিয়ে জোরপূর্বক বাড়ীর জমি দখলে নিতে ফখরুল হক সুজার ঠিক ঘরের সামনের উঠানে গাছের চারা রোপন করে তাদের রাস্তাঘাট বন্ধ করে দেয় । এক পর্যায় সুজার স্ত্রী ফাতিমা তাদের কে বলেন আদালতে মামলা রয়েছে, আপনারা এভাবে গাছ লাগিয়ে আমাদের রাস্তাঘাট বন্ধ করতে পারেন না। দেশে কি কোনো আইন কানুন নেই বলার সাথে সাথে প্রতিপক্ষের সুফিয়ান, শিপলু সহ সঙ্গীয় সন্ত্রাসীরা সুজার স্ত্রী ফাতিমার উপর হামলা করে।
ফাতিমার সুর চিৎকারে দৌড়ে আসা স্বামী সোজাকেও সন্ত্রাসী দাও দিয়ে মাথায় আঘাত করলে তিনি অজ্ঞান হয়ে পড়েন এবং রক্ত বেরুতে থাকে তার এ অবস্থায় বৃদ্ধ মা বেদানা বেগম (৬২) বোন সেবিনা বেগম দৌড়ে এসে সোজা মিয়াকে নিরাপদে নেয়ার চেষ্টা করেন। এসময় মধ্যে যোগিও কায়দায় সন্ত্রাসীরা বেধড়কভাবে পিটিয়ে মারাত্মক রক্তাক্ত জখম করে এক পর্যায় তাদের অবস্থা বেগতিক দেখে আশপাশের লোকজন দৌড়ে এসে আহতদে চিকিৎসার জন্য স্থানীয় হাসপাতালে নিয়ে গেলে ফখরুল হক সুজা ও তার স্ত্রী ফাতিমার অবস্থার অবনতি হলে কর্তব্যরত ডাক্তার সিলেট ওসমানী হাসপাতালে রেফার্ড করে। স্বৃদ্ধ মা বেদানা বেগম (৬২) এবং বোন সেবিনা বেগম বিবাহিত (২৪) গোলাপগঞ্জ স্থানীয় হাসপাতালে চিকিৎসাধীন রয়েছেন।
এ নিউজ লেখা পর্যন্ত থানায় কোনো মামলা হয়নী তবে স্ত্রী ফাতিমা বেগম জানান পরিবারের সবাই মারাত্মক আহত হওয়ায় তারা সবাই চিকিৎসা নিচ্ছেন, এখনতো রাত কালকে দিনের বেলা আমরা মামলা করতে যাব।